পর্তুগালের এক সাহিত্য উৎসবে যাওয়ার পর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সেপুলভেদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৮৮ সালে ‘দ্য ওল্ড ম্যান হু রিড লাভ রিড লাভ স্টোরিজ’ উপন্যাস প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পান সেপুলভেদা। তার এই পুরস্কারজয়ী উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ইকুয়েডোরিয়ান আমাজনে ‘শুয়ার’ নাম এক আদিবাসীদের সঙ্গে জীবন-যাপনের সময়কে উপজীব্য করে। পরবর্তীতে উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রে রূপদান করা হয়। এতে অভিনয় করেন আমেরিকার বিখ্যাত অভিনেতা রিচার্ড ড্রেইফুস।
সেপুলভেদা নিজেও লেখালেখির পাশাপাশি ফিল্ম পরিচালনা এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন। তাছাড়া শিশুদের জন্যও লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই। তার অনেক পাঠক এখনও নিঃসঙ্কোচ চিত্তে বলে, কিভাবে সেপুলভেদার লেখা ‘দ্য স্টোরি অব আ সিগাল’ এবং ‘দ্য ক্যাট হু থট হার ট্যু ফ্লাই’ তাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।
আরও অনেক বামপন্থী লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং বুদ্ধিজীবিদের মতো সমাজতন্ত্রবাদী এ লেখক নির্বাসিত হওয়ার আগে চিলির সামরিক শাসক অগাস্টো পিনোচেটের শাসনের সময় কারাবন্দী ছিলেন দীর্ঘদিন।
ডানপন্থী জেনারেল পিনোচেট ক্ষমতায় এসেছিলেন ১৯৭৩ সালে সমাজতন্ত্রবাদী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে হঠিয়ে। একই বছর কারাবন্দী হোন সেপুলভেদাও এবং আড়াই বছর কারান্তরীণ জীবন-যাপনের পর তিনি পিনোচেটের উন্মত্ততা বিষয়ক ও অন্যান্য নিবন্ধ লেখেন।
পরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চাপ দেওয়ায় মুক্তি পান সেপুলভেদা। এরপর ফের গ্রেপ্তার ও নির্বাসিত হওয়ার আগে বেশ কয়েকদিন চিলির বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।